অনুমতি ও তদারকি নেই প্রশাসনের...

কক্সবাজারে ম্যাসাজ পার্লারের আড়ালে চলছে অনৈতিক কর্মকান্ড



বিশেষ প্রতিবেদক :
পর্যটন নগরী কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন স্থানেই ক্রমেই বেড়ে চলছে ম্যাসাজ পার্লার। ওইসব ম্যাসাজ পার্লারের আড়ালে চলছে অনৈতিক ও অসামাজিক কর্মকান্ড। অভিযোগ রয়েছে, এ ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ডের সুযোগ দিয়ে মোটা অংকের টাকা মাসোহারা তুলছে এক শ্রেণীর প্রভাবশালী চক্র। এছাড়াও ওইসব ম্যাসাজ পার্লারগুলোতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেই কোন তদারকি। ওইসব ম্যাসাজ পার্লারে যাই বেশির ভাগই ইয়াবা ব্যবসায়ী ও ধনী ব্যক্তিরা। ম্যাসাজের প্রাইজ সর্বনি¤œ ২ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার নিচ্ছে ওইসব পার্লার।

কক্সবাজার কলাতলীর হোটেল-মোটেল জোনের হোয়াইট বিচ হোটেলের তৃতীয় তলায় গড়ে উঠেছে এঞ্জেল টার্স ম্যাসাজ পার্লার। তারপরে ওশান প্যারাডাইজ হোটেলের বিপরীত দিকে গড়ে উঠেছে আরও একটি হংকন ম্যাসাজ পার্লার। কিন্তু এসব পার্লারের বেতরে ম্যাসাজের বদলে চলছে অবৈধ কর্মকান্ড। এছাড়াও আর বেশ কয়েকটি ম্যাসাজ পার্লার রয়েছে বলে জানা গেছে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ওই ম্যাসাজ পার্লার অনুমোদনের জন্য আবেদন করলেও তাদের পরিবেশ ভাল না থাকায় অনুমতি দেয়া হয়নি। তারপরও তারা স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক নেতাদের হাত করে এসব পার্লারে অবৈধ কর্মকান্ড চলমান রেখেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বাহির থেকে ভেতরের পরিবেশ অনুমান করা খুবই কঠিন। ভেতরে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে একটি পরিপাটি সেলুন। অথচ এর মধ্যে চলছে ভয়ঙ্কর অনৈতিক কর্মকান্ড। বাহিরের দিকটায় পর্দা টানিয়ে ভিতরে ঢুকলেই দেখা মিলবে স্কুল-কলেজ ও ভার্সিটি পড়–য়া সুন্দরী যুবতীদের আনাগোনা। ওখানেই চলে যতসব অনৈতিক কর্মকান্ড। স্কুল-কলেজের উঠতি বয়সী ছেলেরাসহ যুব-সমাজের একটি বড় অংশ এদের খরিদ্দার। সেখানে দেখা মিলে ম্যাসাজের দায়িত্বে থাকা সুন্দরী রমণীদের। যাদের দেখে বোঝার উপায় নেই তারা পতিতা নাকি অন্যকিছু। এখানে কাজ করেন এমন একজনের নাম মিষ্টি (ছদ্মনাম)। তিনি জানান, মাসিক ১৫ হাজার টাকা বেতনে দুই মাস হয় তিনি এখানে চাকরি নিয়েছেন। তবে তিনি কি ধরনের ম্যাসেজ করেন সেই ব্যাপারে প্রতিবেদকের প্রশ্নের উত্তরে চুপ হয়ে যান।

মুঠোফোনে এসব বিষয়ে এঞ্জেল টার্স ম্যাসাজ পার্লারের ম্যানেজার সাজু বলেন, আমাদের জেলা প্রশাসনের সব অনুমোদন রয়েছে। আপনি এসে দেখে যান। পরে সেখানে গেলে তিনি কিছুই দেখাতে পারেননি।

এ বিষয়ে কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. আশরাফুল আফসার বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নয়। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।